শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের শীত বস্ত্র বিতরণ

বিবাহ প্রসঙ্গ (১ম পর্ব)

বিবাহ প্রসঙ্গ (১ম পর্ব)

মামুন আল সাদেক:

আল্লাহ্ তা আলা পৃথিবীতে বংশ বিস্তারের জন্য মানব সমাজে বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন। বিয়ে করতে উৎসাহ দিয়েছেন। বিয়ের পর তাঁর অনুগ্রহ দ্বারা নব দম্পত্তিকে সম্পদশালী করে দেওয়ার কথাও বলেছেন।

আল্লাহ্‌ তা আলা বলেছেন, ” আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী পুরুষদের বিবাহ দাও”, (সূরা নূর)। রাসূলুল্লাহ্ (সা:) যেনা ব্যাভিচার থেকে বাঁচার জন্য নির্ধারিত সময়ে বিয়ে করার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য আছে সে যেনো বিয়ে করে। কেননা বিয়ে তার দৃষ্টিকে নিম্নমুখী রাখবে এবং তার লজ্জাস্থান রক্ষা করবে। বিয়ে করার সামর্থ্য না থাকলে সে যেনো রোজা রাখে, (সহীহ বুখারী)। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও দেরিতে বিয়ে করালে সন্তান যদি কোন অপরাধ করে ফেলে তার দ্বায়িত্ব অভিভাবকদের বহন করতে হবে। তবে কোনোভাবেই অভিভাবকদের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করা যাবেনা। “যে নারী তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই নিজে নিজে বিবাহ করে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল, (আল হাদীস) ”।

বর্তমানে বিয়েতে সবচেয়ে মারাত্বক রোগ হিসাবে দেখা দিয়েছে ডিমান্ড দাবী করা। বর কনেকে বিয়ে করবে নগদ মোহরানা দিয়ে, এটাই ইসলাম বলে দিয়েছে। তবে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য এমন পরিমান দেনমোহর নির্ধারণ করা উচিত নয় যা আদায় করা হয় না। রাসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেছেন, ” যে ব্যক্তি এমন পরিমান মোহরের বিনিময়ে বিবাহ করেছে, যা তার পরিশোধ করার ইচ্ছা নেই, সে ব্যভিচারী। ” কিন্তু বর্তমান সময়ে মনে হচ্ছে যে মেয়ে পক্ষকেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মেহমানদারী করে সাথে টিভি, ফ্রিজ, গাড়ি, বাড়ি, হোন্ডা, জায়গা জমি ইত্যাদি বরকে দিতে হবে। এগুলো যেনো এখন সামাজিকতা হয়ে দাড়িয়েছে। এ যেনো মেয়ে হয়ে বরকে মোহরানা দেওয়ার মত। বিয়ের সময় বেশি বেশি মালামাল দিতে না পারলে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে মানসিক এবং শারিরিক ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়।

সম্পূর্ণ উল্টোভাবে সমাজ জীবন অভিশপ্ত সাগরে ভেসে চলছে। এতো গেল একটা চিত্র। অন্য চিত্র হলো- বিয়ে উপলক্ষে বৌভাত এমনকি বর ভাত ও শুরু হয়ে গেছে। গরীব মানুষরা বিয়ের কথা চিন্তা করলে কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধার দেনা, কর্জ করার পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

অনেকের ঘরে ছেলে মেয়ে বিবাহযোগ্য হয়েছে কিন্তু এসব ইসলাম বিরোধী আনুষ্ঠানিকতা ও সামাজিকতার জন্য বিয়ে দিতে পারছেন নাহ। রাসূলুল্লাহ্ (সা:) এবং সাফিয়া (রা:) তাঁদের ওয়ালীমা করেছিলেন ছাতু ও খেঁজুর দ্বারা। কিন্তু বর্তমানে গোশত, পোলাও, কোরমা, বিরিয়ানি, দই মিষ্টি ইত্যাদি মুখরোচক খাবারের আয়োজন করতে হয়, যা বিয়েকে কষ্টকর, দুঃসাধ্য আর ব্যয়বহুল করে দিয়েছে।

রাসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেন, “যে বিয়েতে খরচ সবচেয়ে কম, সে বিয়েই বরকতময়। ” বর্তমানে বিয়েতে ইসলামী সংস্কৃতির সাথে বিজাতীয় সংস্কৃতির সংমিশ্রণে জগা খিচুড়ি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের নাম দিয়ে কন্যাকে শত শত মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়।

এ উপলক্ষে যুবক যুবতীরাও অশালীন পোশাকে যেনা ব্যভিচারের কাছাকাছি পৌছে যায়। যা আদৌ ঠিক নয়। ভাবী বেয়াইনরা মিলে বরকে গোসল করাতে হয়। গান বাজনা সহ আরও কত কী? ইসলামে বিবাহ একটি অত্যন্ত পবিত্র কাজ। কিন্তু আমরা যুগের সাথে গা ভাসিয়ে দিয়ে পবিত্র কাজটাকে জেনে শুনেই অপবিত্র করে দিচ্ছি। বিবাহ পদ্ধতি সহজ হলে, যুবকরা বাজে আড্ডা, মাদক, অশালীন কাজ তথা সমাজ বিরুদ্ধ যেকোন কাজ হতে দূরে থাকত পাশাপাশি পরিবার, সমাজ তথা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারত।

তাই আসুন, আমরা আল্লাহ্ এবং রাসূলুল্লাহ্ (সা:) এর নির্দেশ অনুসারে বিবাহকে সহজ, সরল, সাবলীল এবং বরকতময় করার চেষ্টা করি। “হে আল্লাহ্, আপনি আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন, আমিন। ”


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com