শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের শীত বস্ত্র বিতরণ

২১৮ রানের বড় জয়ে মান বাঁচাল বাংলাদেশ

২১৮ রানের বড় জয়ে মান বাঁচাল বাংলাদেশ

মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে ৪৪৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ দিনে বৃহস্পতিবার সফরকারী দলটি গুটিয়ে গেছে ২২৪ রানে।

টেস্টে রানের হিসেবে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় জয়। সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই, ২০০৫ সালে চট্টগ্রামে ২২৬ রানে।

শেষ দিনটি বাংলাদেশের জন্য হতে পারতো চ্যালেঞ্জিং। উইকেট খুব একটা ভাঙেনি পাঁচ দিনেও। মাঝেমাধ্যে দু-একটি বল ছাড়া ছিল না খুব বেশি টার্ন। টিকে থাকা ও শট খেলা খুব কঠিন ছিল না। দুর্দান্ত স্কিল আর নিবেদন দিয়ে সেটির প্রমাণ রেখেছেন ব্রেন্ডন টেইলর। করেছেন ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সতীর্থদের কাছ থেকে পাননি কোনো সহায়তা। টিকতে পারেনি তারা দুই সেশনও।

দুই ম্যাচ সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট ও টানা চার ইনিংসে ৫ উইকেটের হাতছানি ছিল তাইজুল ইসলামের সামনে। তবে শেষ দিনের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দারুণ বোলিংয়ে ক্যারিয়ারে পঞ্চমবার নিয়েছেন ৫ উইকেট।

দিনের প্রথম ব্রেক থ্রু বাংলাদেশকে এনে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের দারুণ ডেলিভারিতে লাইন মিস করে বোল্ড হন শন উইলিয়ামস। লাঞ্চের আগে আরও একটি উইকেট পায় বাংলাদেশ। ফিরতি ক্যাচে সিকান্দার রাজাকে ফেরান তাইজুল ইসলাম।

লাঞ্চের পর লড়াইটা ছিল যেন টেইলর ও মিরাজের। তাতে হারেননি কেউই। কিন্তু জিতেছে বাংলাদেশ। এক পাশে দারুণ সব শট খেলেছেন টেইলর। আরেকপাশে মিরাজ উইকেট তুলে নিয়েছেন টপাটপ।

টেইলর ম্যাচে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ১৬৪ বলে। জিম্বাবুয়ের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন দ্বিতীয়বার। এর আগে ২০১৩ সালে হারারে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই।

ম্যাচের যবানিকা হয়েছে একটু পরই। কাইল জার্ভিসকে আউট করে মিরাজ টেনেছেন ম্যাচের ইতি, পূর্ণ করেছেন নিজের ৫ উইকেটও। খেলা শেষ চা-বিরতির বেশ আগেই।

প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা তাইজুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫২২/৭ (ইনিংস ঘোষণা)

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৩০৪

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২২৪/৬ (ইনিংস ঘোষণা)

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস:(লক্ষ্য ৪৪৩) ৮৩.১ ওভারে ২২৪ (আগের দিন ৭৬/২)( টেইলর ১০৬*, উইলিয়ামস ১৩, রাজা ১২, মুর ১৩, চাকাভা ২, টিরিপানো ০, মাভুটা ০, জার্ভিস ১, চাটারা আহত অনুপস্থিত; মুস্তাফিজ ১০-২-১৯-১, তাইজুল ৩৭-৫-৯৩-২, খালেদ ১২-৪-৪৫-০, মিরাজ ১৮.১-৫-৩৮-৫, আরিফুল ৩-১-৭-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-১-০, মুমিনুল ২-০-১৭-০)।

ফল: বাংলাদেশ ২১৮ রানে জয়ী

সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা

ম্যান অব দা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম

ম্যান অব দা সিরিজ: তাইজুল ইসলাম


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com