বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের শীত বস্ত্র বিতরণ

দুই শতাধিক ট্রলি-পিকআপ চলাচলে চৌমুহনী-ডলুরা সড়কের বিনাশ

দুই শতাধিক ট্রলি-পিকআপ চলাচলে চৌমুহনী-ডলুরা সড়কের বিনাশ

আকরাম উদ্দিন::

দীর্ঘদিন ধরে প্রায় দুই শতাধিক বেপরোয়া ট্রলি ও পিকআপ চলাচলের কারণে সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের চৌমুহনী ও ডলুরা সড়কের বিনাশ হয়েছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের সড়কে শতাধিক স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে অবৈধ ট্রলি ও পিকআপ চলাচল শুরু করেছে সুরমা ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে বিভিন্ন সড়কে। এই কারণে সিএনজি, অটোরিক্সা, রিকশা চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। চৌমুহনী ও ডলুরা সড়কে একটি পিকআপ আসা-যাওয়া করলে পুরো সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। ট্রলি ও পিকআপ চলাচলের কারণে হালুয়ারঘাট বাজার, মঙ্গলকাটা বাজার, চৌমুহনী বাজার সড়কে যানজট লেগেই থাকে।

পথচারী আব্দুর রহমান বলেন, এই সড়কে চলাচল করলেই হ্যাঁচি, কাঁশি, সর্দিতে আক্রান্ত হতে হয় আমাদের। এতো অবৈধ যান চলাচল প্রশাসনের নজরে আসে না। এটাই আমাদের সমস্যা।
চৌমুহনী সড়কের পাশের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, পিকআপ ও ট্রলি চলাচলের সময় ভাঙা সড়কের ধুলাবালি উড়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরের ও আশপাশের পরিবেশ প্রতিনিয়ত নোংরা হচ্ছে। গাড়ির শব্দে দিনে ও রাতে ঘুমানো যায় না। শিশুদের ঘুম ও চলাফেরা নিয়ে মহা সমস্যায় আছি।
ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, ট্রলি ও পিকআপ ভাঙা সড়কে চলাচলের সময় ধুলাবালি উড়ে মালামালের পড়ে আবরণ সৃষ্টি হয়। মানুষ মালামাল কিনে নেওয়ার সময় ঝারমুছ করে হাতে তুলে দিতে হয়। তবুও অনেকে বলেন আমার দোকানের মালামাল পুরাতন। সারা দিন বেচা কেনার পর রাতে গিয়ে গোসল করতে হয়। এতে শরীরও খারাপ হয়।
শিক্ষক শফিক মিয়া বলেন, মঙ্গলকাটা ও চৌমুহনী এলাকার আশপাশের মেইন সড়কে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও চলাচলে মারাত্মক আতঙ্কে থাকেন। সড়কে চলাচল নিরাপদ নয়। এই অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা উচিত।
সমাজকর্মী আবুল হায়াত বলেন, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ না হওয়ায় ডলুরা শহীদ মিনার থেকে চৌমুহনী পর্যন্ত সড়কের বেহাল অবস্থা হয়েছে। এদিকে ট্রলি ও পিকআপ চলাচলের কারণে মঙ্গলকাটা সড়কও নষ্ট হয়েছে।

নারায়নতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইলিয়াছ মিয়া বলেন, সড়কে চলাচলকারী অবৈধ যানবাহন বন্ধ করার জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে দাবি জানিয়ে আসলেও কোনো কাজ হয় না। প্রতিদিন এই সড়কে দুই শতাধিক পিকআপ ও ট্রলি চলাচলের কারণে মানুষের জীবন জীবীকা বিষিয়ে তুলেছে। আমাদের এলাকার চলাচলকারী মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দাবি আমাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা অ্যাড. শামীম আহমদ বলেন, সুরমা উত্তরপাড়ের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বেড়েই চলেছে। ভাঙা সড়কে মেরামত কাজ এমনিই টেকসই হয় না। এই সড়কের আবার চলে মালবাহী ট্রলি, পিকআপ ও অন্যান্য মালবাহী গাড়ি। এই কারণে সড়কের অবস্থা বেহাল হয়েছে। অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি আমাদের।

জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুকশেদ আলী বলেন, ইউনিয়নের সর্বত্র এখন ট্রলি ও পিকআপ চলাচল করছে। সড়কে অবৈধভাবে যানবাহন চলাচল করায় সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় এই সমস্যার সমাধান জরুরি প্রয়োজন।


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com