শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
শুকরিয়া মহিমাময় আল্লাহ তাআলার দরবারে। যিনি আমাদের দান করেছেন অসংখ্য নেয়ামতরাজি। প্রধান নেয়ামত হিসেবে রাসূল সা. কে সৃষ্টি করে ধন্য করেছেন সমস্ত সৃষ্টি জগতকে। রাসূল সা. সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,‘আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোনো কিছুই সৃষ্টি করতাম না।
আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি। হে মাহবুব আপনি বলুন আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির কারণে বান্দারা যেন খুশি উদযাপন করে। এটা তাদের সকল সঞ্চিত ইবাদত হতে উত্তম (আল হাদিস)। সকল সৃষ্টির মূল আমাদের সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ সা. এর পৃথিবীতে আগমনের দিন, ১২ রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ। ঈদে মিলাদুন্নবী আরবি তিনটি শব্দের সম্মিলিত রূপ। ঈদ, মিলাদ ও নবী এই তিনটি শব্দ নিয়ে গঠিত। আভিধানিক অর্থে ঈদ অর্থ খুশি, মিলাদ অর্থ জন্ম, নবী অর্থ বার্তাবাহক। পারিভাষিক অর্থে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের আনন্দকে ঈদে মিলাদুন্নবী বলা হয়। অন্য কথায়, ঈদে মিলাদুন্নবী হলো, রাহমাতুল্লিল আলামিন হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) এর পবিত্র ‘বেলাদত শরিফ’ (জন্মদিন) উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। হাদিস শরিফে মহানবী (সা.) এর জন্মকাল সম্পর্কে জানা যায়, হজরত আবু কাতাদা আল আনসারি (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে সোমবার দিন রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনেই আমি নবুয়ত পেয়েছি।’ (মুসলিম)। এর দ্বারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়।
এ মুবারক মাসের ১২ তারিখ উম্মাহর জন্য শ্রেষ্ঠতম দিন। কারণ, এ মুবারক দিনটি যদি আল্লাহ পাকের হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের অন্তর্ভুক্ত না হতো তাহলে শবে ক্বদর, শবে বরাত, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, জুমা ইত্যাদি ফযীলতপূর্ণ কোন দিন-রাতেরই আগমন ঘটতো না। শুধু তাই নয়, কুরআন শরীফ নাযিল হতো না, দ্বীন ইসলাম আসতো না এবং কোন মমিন-মুসলমানের অস্তিত্বও থাকতো না।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহর সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। একই সঙ্গে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ (সুন্নাহ) অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মসূচি : ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা মাহফিল বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আঞ্জুমানে রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীর ব্যবস্থাপনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আজ সকাল ১০টায় জশনে জুলুশ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।
রাজারবাগ দরবার শরীফের উদ্যোগে সারাদেশে কোটিকন্ঠে মিলাদ পাঠ করা হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দরবার শরীফের উদ্যোগে রাজধানীর সকল এলাকায় সজ্জিত গাড়িবহরের জশনে জুলুস বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। তাছাড়া ট্রাক থেকে তাবারুক বিতরণ করা হবে।
জৌনপুরী দরবার আব্বাসী মঞ্জিল : জৌনপুরী দরবারের উদ্যোগে আজ দিবগত রাতে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্য রাখবেন ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব জৌনপুরী।
দাওয়াতে ইসলামীর উদ্যোগে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় জশনে জুলুস বের হবে। রাজধানীতে একটি জুলুস বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।