বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শীত এলেই নিজের সন্তানের আসন্ন অসুস্থতা ভাবিয়ে তুলে মা-বাবাকে। শীতে শিশুর যত্নে প্রত্যেক বাবা- মাকে রাখতে হবে বাড়তি সতর্কতা। শীতের আগমনের সাথে সাথেই শিশুর ত্বকে বেশ পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। শীতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকায় ত্বকে দেখা দেয় এক ধরনের রুক্ষতা। এ ছাড়া শিশুর ঠাণ্ডা লাগা, কাশি, জ্বর অথবা পেটের অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। তাই তাদের প্রতি একটু বাড়তি যত্ন নিলে শীতের সমস্যা থেকে শিশুকে রক্ষা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অহেতুক অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার করলে শিশুর ক্ষতি হতে পারে। ঘরোয়া চিকিৎসাতেই অধিকাংশ সর্দি-জ্বর ভালো হয়।
নিয়মিত গোসল করান
শীত বলে পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা না করে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান। তবে দুপুর ১২ টার আগেই গোসলের পর্ব সেরে ফেলুন। গোসলের পর বাচ্চার মাথা ও শরীর ভালো করে মুছে তারপর জামা কাপড় পরাবেন।
ত্বকের যত্ন নিন
আদ্রতার কারণে শিশুদের ত্বক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। শীতে শিশুর কোমল ত্বকের যত্ন নিতে অবশ্যই ভালো মানের লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে। এছাড়াও বেবি অয়েল, গ্লিসারিন ও ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
হাত এবং মাথা ঢেকে রাখুন
সারা শরীরে কাপড় পরিয়ে দিলেও শিশুদের হাত এবং মাথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাইরে থাকে। তাই আপনার শিশুকে কোলে নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সময় তার মাথা আর হাত ভালো করে ঢেকে দিন। দরকার পড়লে তার চেহারার উপরে একটি পাতলা কাপড়ের আস্তরণ দিয়ে রাখুন। এতে করে তার ঠাণ্ডার ভাব কমে যাবে।
ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শিশুকে গোসল করানোর পর তার শরীরকে ময়েশ্চারাইজ করুন। সেটা লোশন দিয়েই হোক কিংবা কোনো ভ্যাসলিন বা জেলি দিয়ে। বাজারে নানারকম ময়েশ্চারাইজার কিনতে পাওয়া যায়। গোসলের পর সেগুলোর ভেতরে উন্নত ও ভালো মানের ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করুন আপনার শিশুর শরীরে।
পানি খাওয়ান
খাবারের পাশাপাশি শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করান শীতকালেও। আপনার শিশুটি নিশ্চয়ই পানি না পান করতে পারলেই খুশী হবে। কিন্তু খুশীর চাইতে সুস্থতা বেশী দরকারি। তাই শিশুর শরীরকে সতেজ রাখতে তাকে প্রচুর পানি পান করান।
খালি পায়ে যাতে না হাটে সেদিকে খেয়াল রাখুন
শিশু যেন মেঝেতে খালি পায়ে না হাঁটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুর জন্য বাসায় ব্যবহার উপযোগী জুতা কিনতে পারেন। ঘরের মেঝেতেও কার্পেট অথবা মোটা কাপড় বিছিয়ে দিতে পারেন। তাহলে মেঝেতে বসে খেলা করলেও সহজে ঠাণ্ডা লাগবে না। এ ছাড়া শিশুর বিছানা-বালিশ প্রতিদিন রোদে গরম করে নিলে শিশু আরাম বোধ করবে। প্রতিবার ডায়াপার ভিজিয়ে ফেলার পর তা পাল্টে দিতে হবে।
শীতের খাবার
শিশুর শীতের খাবার বেছে নিতে একটু বিবেচনা করে পছন্দ করতে হয়। শীতে শিশুরা অতিরিক্ত ভিটামিন সি পাবে এরকম খাবার দিতে হবে বেশি, তবে সবরকম খাদ্যগুণ সম্পন্ন সুষম খাবার খাওয়ানোরও কোনো বিকল্প নেই।
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন
যদি আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা ও সতর্কতায় কিছু করতে না পারেন তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
অনেক কষ্টের মাঝেও নিজ সন্তানের ফোকলা দাঁতের মিষ্টি হাসিতে ভরে উঠে মন। তাই শীতে আপনার নাড়ি ছেড়া ধনটিকে আগলে রাখুন পরম যত্নে।