শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, বাঁধের কাজে কোনো প্রকার গাফিলতি সহ্য করা হবে না। যে বা যারাই বাঁধের কাজে অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার সকালে জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওর (পোল্ডার-২) প্রকল্পের রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা স্টীল ব্রিজের নিকট ৩৫নং পিআইসির বাঁধে মাটি কেটে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাঁধ নির্মাণকাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। উক্ত প্রকল্পের কাজের দৈর্ঘ্য ১.৩৮৫ কিলোমিটার। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১৫.৯৮ লক্ষ টাকা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান আরো বলেন, আমি কথায় বিশ্বাসী নয়, কাজে বিশ্বাসী। যার যার দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অনিয়ম করা যাবে না। বাঁধের কাজ যথাসময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করতে হবে। কাজে, দায়িত্বে সংশ্লিষ্টদের কিছুতেই ফাঁকি দেয়া চলবে না।
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, হাওর এলাকার সন্তান হিসেবে আমার কাজে স্বাভাবিকভাবেই হাওর প্রাধান্য পাবে। হাওরের ফসল রক্ষায় স্থায়ী সমাধান খুঁজতে হবে। আমরা কৃষকের মুখে সব সময় হাসি দেখতে চাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরবান্ধব। কৃষকের মুখে হাসি ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার অতীতের মতো সব সময় হাওরের মানুষের পাশে থাকবে।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৪টি হাওরে ৫০টি প্রকল্পের অধীনে মোট ৩২.০৩৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ/পুনঃনির্মাণ করা হবে। যার প্রাক্কলিত
মূল্য ৫৪৭.৯৭ লক্ষ টাকা। এ উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গৃহীত ৫০টি প্রকল্পের মধ্যে ৩৪টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে এবং অবশিষ্ট ১৬টি প্রকল্পের কাজ ২/১ দিনের মধ্যে শুরু হবে।
সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুল আলম মাসুম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, পওর-২ খুশি মোহন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ চৌধুরী, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক রেজাউল করিম রিজুসহ প্রকল্পের সদস্যবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ এর আওতায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্পভুক্ত সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলার উপজেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ৫৫৩টি স্কীম যার প্রাক্কলিত মূল্য ৯৩৪৮.১৭ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। যার মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ৯টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ৪০টি, জগন্নাথপুর ৫০টি, ধর্মপাশা ৭৪টি, শাল্লা ১১৫টি, দিরাই ১০১টি, জামালগঞ্জ ৫২টি, বিশ্বম্ভরপুর ১৬, তাহিরপুর ৬৬টি, দোয়ারাবাজার ২৩টি এবং ছাতক ৭টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের জন্য ছাড় করা হয়েছে।