শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
আঙিনা ডেস্ক:: বেফাককে সংবিধান মোতাবেক চলতে বাঁধাগ্রস্থ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শীর্ষ উলামায়ে কেরাম। তারা বাংলাদেশের সকল কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা দয়া করে সরকারী অনুদান নিবেন না। সরকারী অনুদান নিলে মাদরাসা টিকবে না। তারা বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের অষ্টনীতি মেনে সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিবে। এমন কথা শুনেই আমরা স্বীকৃতি নিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, দেশের কওমি মাদরাসা দেওবন্দের নীতি-আদর্শ মোতাবেক পরিচালিত হবে কথাটি থাকলেও অষ্টনীতি বা উসুলে হাশতেগানাহ শব্দটি নেই। এটাকে বিলুপ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কওমী মাদরাসায় চলমান সংকট থেকে উত্তোরণে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামের উপস্থিতিতে কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় গুরুত্বপূর্ণ ইসলাহী মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।
ইসলাহী মজলিসে চার দফা প্রস্তাবনা পাঠ করেন মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব। প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১ম দফা, কওমি মাদরাসার ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা রক্ষার্থে ‘তাহাফফুজে ফিকরে দেওবন্দ’ শিরোনামে সারাদেশে আলোচনা সভা করা হবে।
২য় দফা, দ্রুত সময়ের মধ্যে বেফাকের মজলিসে শুরা ও আমেলার বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
৩য় দফা, ইসলাহী মাহফিল থেকে সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে । উক্ত কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংকট সমাধানের জন্য বেফাক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করবে।
সদস্য দশজন হলেন- ১. নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের খতীব মাওলানা আব্দুল আউয়াল।
২. বারিধারা মাদরাসার শায়খে ছানী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক।
৩. হাফেজ্জী হুুজুর রহ. এর নাতি মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী।
৪. জামিয়া রাহমানিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মামুনুল হক।
৫. মাওলানা লেহাজুদ্দীন, গাজীপুর।
৬. মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ।
৭. মাওলানা লোকমান মাজহারী।
৮. মাওলানা বশির আহমদ।
৯. নাছিরুল্লাহ যশোরী।
১০. মাওলানা হামেদ জাহেরী। ৪র্থ দফা, মাদরাসায় মাদরাসায় কাদিয়ানীদের পক্ষ থেকে প্রেরিত চিঠি প্রেরণ ও তাদের অন্যান্য অপতৎপরতা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
ইসলাহী মজলিসে বেফাকের সংকট কাটিয়ে উঠতে পরামর্শ ও ইসলাহীমূলক বক্তব্য দেন, খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী, দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধূরী, ময়মনসিংহের মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, বারিধারা মাদরাসার শায়খে ছানী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি মসজিদের খতীব মাওলানা আব্দুল আউয়াল, রামপুরার মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ময়মনসিংহের মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া।
বারিধারা মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান, জামিয়া রাহমানিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহফুজুল হক, ইসলামবাগ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, বি.বাড়ীয়া প্রতিনিধি মাওলানা লিয়াকত উসমানী, হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা শওকত হোসেন সরদার, মাওলানা মাসউদুল করীম, নাজিরহাট মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা হাবীবুর রহমান, বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি মুফতি আব্দুর রহমান, কওমী ঐতিহ্যের মাওলানা মুসা বিন ইজহার।
Mustafa Wadud