শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব নবীর আগমনে, সুরভিত পরিবেশে পুলকিত বিশ্ব আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা

রিকসা শ্রমিকদের মঞ্চে ডেকে অভাব-অনটনের কথা শোনলেন জেলা প্রশাসক

রিকসা শ্রমিকদের মঞ্চে ডেকে অভাব-অনটনের কথা শোনলেন জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার ::


আলফাত উদ্দিন আহমদ রিকসা শ্রমিক ইউনিয়ন স্মৃতি ট্রাস্টের উদ্যোগে রিকসা শ্রমিকদের মধ্যে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।


শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে রিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক এসেছিলেন। অতিথিদের বক্তব্য শেষে যখন জেলা প্রশাসকের পালা তখন তিনি রিকসা শ্রমিকদের কিছু বলার জন্য বিশেষ করে তাদের অভাব ও দাবি-দাওয়া স¤পর্কে বলার অনুরোধ করেন। মঞ্চে ডেকে নিয়ে তিনি তাদের অভাব-অনটনের কথা শুনে তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসকের আহ্বানে মঞ্চে এগিয়ে এলেন প্রথমে হারুন মিয়া নামের একজন রিকসা শ্রমিক। তিনি জানালেন, রিকসা শ্রমিকদের বেশির ভাগেরই নিজের জায়গা জমি ও ঘরবাড়ি নেই। যাদের জায়গা আছে তাদের ঘর করার সামর্থ্য নেই। সন্তানরাও পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি খাসজমি বন্দোবস্ত দানের অনুরোধ জানালেন জেলা প্রশাসককে।

আরেকজন রিকসা শ্রমিক মঞ্চে এসে তার অভাবের কথা জানালেন। তিনিও খাসজমি বন্দোবস্তের অনুরোধ জানালেন। অনুষ্ঠানে রিকসা শ্রমিকদের অভাব অনটনের কথা শুনে জেলা প্রশাসক তাদের আশ্বস্ত করলেন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে তাদের সহায়তা করবেন তিনি। বিত্তহীন মানুষদের অনুষ্ঠানে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ায় জেলা প্রশাসককে অভিনন্দন জানান উপস্থিত শতাধিক রিকসা শ্রমিক।


রিকসা চালকদের অভাব অনটন ও চাওয়া-পাওয়ার বক্তব্যের পরে মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। তিনি বলেন, বিত্তহীন মানুষদের নিয়ে এমন অনুষ্ঠানে কথা বলার সুযোগ হয়না আমাদের। আমরা যে ক্লাস মেনটেইন করি সেখানে তাদের উপস্থিতি তেমন থাকেনা। তাই আমার মনে হলো এই অনুষ্ঠান যেহেতু বিত্তহীন শ্রমজীবী মানুষদের সেহেতু তাদের কোন বক্তব্য থাকতে পারে। সেটা শোনা আমাদের দরকার। তিনি উপস্থিত রিকসা শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি কৃষকের সন্তান। আমার বাবা আমাদের অনেক কষ্ট করে পড়াশুনা করিয়েছেন। তাই আমি আপনাদেরকে বলতে চাই আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে শিক্ষিত করুন। তাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে যদি আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে আমি তাই করব। প্রয়োজনে আমি মানুষের কাছে হাত পেতে আপনাদেরকে সহযোগিতা এনে দেব।
রিকসা শ্রমিকদের সোনার মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করে দিনযাপন করেন। আপনারা যে টাকা উপার্জন করেন তা স¤পূর্ণ হালাল টাকা। আপনারা সন্তানের লেখাপড়াসহ কোন সমস্যা হলে আমার কাছে আসবেন। আমার দরোজা আপনাদের জন্য খোলা।


জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ তাদের উদ্দেশে আরো বলেন, আপনাদের মধ্যে যাদের বাড়ি জায়গা নেই তাদেরকে একত্রিত করে যাচাই বাছাই করে একটি গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে দিব।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২০৬ জন রিকসা শ্রমিককে কম্বল প্রদান করেন। এছাড়া ২৬জন রিকসা শ্রমিক পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে মৃত্যুদাবি প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপ সিংহ, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, কমরেড রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ স¤পাদক অ্যাড. সালেহ আহমেদ, ইংল্যান্ড প্রবাসী খসরুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com