বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন
 
								
                            
                       আঙিনা২৪ ডেস্ক::
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ছোটখাটো শক্তি নয়, বড় শক্তি কাজ করবে বলে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। হঠাৎ করে আক্রমণ হতে পারে। তবে যত ঝড়ঝাপটাই আসুক আমাদের তা অতিক্রম করতে হবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ আগামী ডিসেম্বরে ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করতে হবে।
প্রেস সচিব জানান, প্রায় দুই ঘণ্টার এ সভায় মূলত চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। প্রথমত, সোস্যাল ডিসইনফরমেশন বা এআই-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়ানো অপপ্রচার, ভুল তথ্য (মিসইনফরমেশন/ ডিসইনফরমেশন) দ্রুততার সাথে মোকাবেলা করা। দ্বিতীয়ত, পদায়ন ও বদলি বিষয়ে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠ প্রশাসনে যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের পদায়ন। তৃতীয়ত, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কার্যকর প্রশিক্ষণ, বিশেষ করে আনসার সদস্যদের প্রশিক্ষণ জোরদার করা এবং চতুর্থত, নির্বাচনের আগে ও পরের ৭২ ঘণ্টাসহ সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও বাহিনীর ডেপ্লয়মেন্ট (মোতায়েন)।
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, সোস্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার আসবে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে, বাইরে থেকে খুবই পরিকল্পিতভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হবে। এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ছবি-ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেয়া হবে। এটাকে সামাল দিতেই হবে। একটা অপপ্রচারের রচনা হওয়া মাত্র সেটি ঠেকাতে হবে, যেন ছড়াতে না পারে।
নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে জানিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, কিভাবে ভোট দিতে হবে, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কী করতে হবে এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। কোনো কর্মকর্তা (বিশেষ করে ডিসি, এডিসি, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট) গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে (রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার হিসেবে) কোনো ভূমিকায় থাকলে তারা এবারের নির্বাচনে পদায়ন পাবেন না। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে।
নিজ জেলা ও শ্বশুরবাড়ির এলাকায় পদায়ন নয় : প্রেস সচিব বলেন, ‘কর্মদক্ষতা, শারীরিক ফিটনেস, রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের স্বচ্ছতা এবং পূর্বেকার পোস্টিং ও কোনো নেতিবাচক রিপোর্ট আছে কি না, এসব বিষয় যাচাই করে যোগ্যতম ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করা হবে। নিজ জেলায় বা শ্বশুরবাড়ি রয়েছে এমন কোনো এলাকায় পদায়ন হবে না। কোনো আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সে ক্ষেত্রেও পদায়নের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন যে, পুলিশ বাহিনীও একই মানদণ্ডে ৬৪ জেলায় একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে এবং পদায়নে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে।
প্রেস সচিব বলেন, সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন ও ফেক নিউজ (বিশেষ করে এআই-জেনারেটেড ছবি ও ভিডিও) মোকাবেলায় জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ডিসইনফরমেশনের জন্য সেন্ট্রাল কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইসিটি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে খুব দ্রুততার সাথে ফ্যাক্ট চেকিংয়ের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে, যাতে কোনো অপপ্রচার ছড়ানোর সাথে সাথেই তা ঠেকানো যায়। বাংলাদেশে বেশির ভাগ ফেক নিউজ ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে আরো নিবিড় আলোচনার জন্য বলা হয়েছে।
সেনা ও নৌবাহিনীর ৯২ হাজার ৫০০ সদস্য মোতায়েন থাকবে : নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রায় ৯২ হাজার ৫০০ জন সদস্য মোতায়েন করা হবে জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, এর মধ্যে ৯০ হাজার আর্মি সদস্য। সেনাবাহিনীর ডেপ্লয়মেন্ট প্রতিটি উপজেলায় এক কোম্পানি করে থাকবে। নির্বাচনের আগের ও পরের ৭২ ঘণ্টার পরিস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে মোকাবেলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আনসার সদস্যদের প্রশিক্ষণকে আরো কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম এবং বিশৃঙ্খলা মোকাবেলার বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে টিভিসি, ডকুমেন্টারি ও ভিডিও দ্রুত তৈরি করে বিটিভি, সংসদ টিভি (নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে) এবং সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারের জন্য নির্বাচন কমিশন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
প্রবাসীদের জন্য অ্যাপ ও ব্যালট সুবিধার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের জন্য এবং আরো তিনটি বিশেষ গ্রুপের (আইনের আওতায় থাকা বা জেলে থাকা ব্যক্তি, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা) জন্য পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেয়ার সুবিধাসহ একটি অ্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করছে। খুব দ্রুত এই অ্যাপটি নির্বাচন কমিশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব:) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার হোসেন, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. নাসিমুল গনি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো: জিয়াউল হক, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ আরো অনেকে।
বিদেশী গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার : এ দিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন। তিনি এর জবাবে বলেন, রয়টার্সে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দেয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কথা বলবেন। তবে আমরা এ বিষয়ে আগে তার ইন্টারভিউটা পড়ি, এরপর এ বিষয়ে কমেন্ট করতে পারব।
প্রেস সচিব বলেন, একটা বিষয়ে আমরা বারবার বলছি এবং জাতিসঙ্ঘের রিপোর্টেও এটা প্রতিষ্ঠা হয়েছে যে, একবিংশ শতাব্দীতে উনার (শেখ হাসিনার) চেয়ে বড় হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন (মানবাধিকার লঙ্ঘন) ভয়ানকভাবে কেউ করেনি। এটা আমরা বারবার বলছি, এটা জাতিসঙ্ঘের যে রিপোর্ট সে রিপোর্টে স্পষ্টভাবে এসেছে। পরবর্তী সময়ে আলজাজিরা তাদের এক ঘণ্টার একটা প্রোগ্রাম করেছে সেখানেও আসছে, বিবিসিতে আসছে, সেখানে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে যে উনি খুন করার নির্দেশ দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ করছেন, আমরা অবশ্যই মনে করি এ কনটেক্সট যেন কেউ ভুলে না যান। আমরা এটা দেখছি, উনি যে ক্লে¬ইমগুলো করেন সেগুলো যেন আনকনটেক্সট না থাকে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) একটা লোকাল নিউজ মিডিয়াতে দেখলাম আইসিসিতে তার পার্টি (আওয়ামী লীগ) কী একটা ইয়ে করছে, সেখানে তিনি যে ভয়ানক রকমের হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন করছেন তার কোনো মেনশনও আমরা দেখিনি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যের
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ইন্টারভিউ এখনো দেখি নাই; কিন্তু আওয়ামী লীগ তো কোথাও নাই। আমরা তো আওয়ামী লীগকে দেখি না। দুই-একটা ঝটিকা মিছিল করে, সেই অনুযায়ী কেউ দুই-একটা ডলার পায়।’
অপর এক প্রশ্নে প্রেস সচিব বলেন, দেশে বসে অনেকে অনেক ধরনের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে, আমরা এটা স্পষ্ট দেখছি। প্রধান উপদেষ্টা সেই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। কেননা, পতিত স্বৈরাচার এবং তার দোসররা অবশ্যই চাইবে না যে, দেশে একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। তাদের সেই ১৫ বছরে একটা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এটা শুধু সাধারণ নির্বাচন নয়, ওই সময় ১০-১৫ হাজার তৃণমূল পর্যায়েও তো নির্বাচন হয়েছে। একটা নির্বাচনও সুষ্ঠু হয়নি। সুতরাং, তারা চাইবে না আরেকটা সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। কারণ, তারা চায় দেশে একটা অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, লক্ষ্য একটা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন করা।
প্রধান উপদেষ্টাকে ঐকমত্য কমিশনের ৮ খণ্ডের প্রতিবেদন প্রদান
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আট খণ্ডের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্য। এই প্রতিবেদনে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫, এই কমিশনের কার্যক্রমের প্রক্রিয়া, প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে প্রাপ্ত লিখিত প্রস্তাবনা, সাধারণ মানুষের মতামত, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশনের পক্ষ থেকে প্রেরিত স্প্রেডশিটসহ সবধরনের আলোচনা ও সংলাপ লিপিবদ্ধ আছে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়। আট খণ্ডের এ প্রতিবেদনে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ, সভা ও কার্যবিবরণীর বিস্তারিত রয়েছে।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস ভবিষ্যতে এই আট খণ্ডের প্রতিবেদন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে গবেষণার জন্য দলিল হয়ে উঠবে। এ সময় তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতিবেদনের একটি সহজবোধ্য বই প্রস্তুত করে দেশের জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, এই প্রতিবেদন সাধারণের সহজবোধ্য একটি ভার্সন তৈরি করতে হবে। বই আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়ে বুঝতে পারে এবং অন্যদেরও বোঝাতে পারে। বইটি ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই প্রকাশের আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে এই বইটি যেন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপাঠ্য হয়ে যায় সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তরুণ প্রজন্ম বইটি পড়বে, তারা নিজেরা জানবে এবং তাদের বাবা-মাকেও জানাবে এতে কী আছে।
প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে অন্যান্যের মধ্যে কমিশন সদস্য বিচারপতি মো: এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো: আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার কমিশন সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ হস্তান্তর করে। আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।