বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
যুদ্ধ আর বোমা হামলায় বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। পাহাড়, বনানী আর রুক্ষতার মিশেলে একসময়কার অনিন্দ্য সুন্দর এই দেশটি দীর্ঘ ৪০ বছরের যুদ্ধ বিগ্রহে আজ ধ্বংসপ্রায়। সাধারণ মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রতায় নিঃস্ব এখন। তবু তারা আশা নিয়ে বেঁচে আছে – একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে। আবার সৌন্দর্যের রাণি আফগানিস্তান ফুলে ফলে ভরে ওঠবে।
কিন্তু সেই প্রচেষ্টা কত দূর? কত দীর্ঘ পথ আরও পাড়ি দিতে হবে? কত মানুষের জীবন দিতে হবে আরও?
আফগানিস্তানের বিগত ৪০ বছরের সামগ্রিক যুদ্ধের খতিয়ান তুলে এনেছেন সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর।
১৯৭৯ : সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক আফগানিস্তান দখল।
১৯৮০ : সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বাবরাক কারমালকে শাসক বানিয়ে কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে। আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন, ইরান ও সৌদি আরব কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রের বিপক্ষে স্থানীয় মুজাহিদ গ্রুপগুলোকে সমর্থন প্রদান করে।
১৯৮৫ : সোভিয়েত বাহিনী ও সমর্থিত সরকারকে হটাতে বিচ্ছিন্ন মুজাহিদ গ্রুপগুলো পাকিস্তানে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে সম্মিলিত জোট গঠন করে।
দীর্ঘ যুদ্ধের কারণে আফগানিস্তানের অর্ধেক জনসংখ্যা দেশ ছেড়ে পাকিস্তান-ইরানসহ বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ।
১৯৮৬ : সোভিয়েত হেলিকপ্টার গানশিপ ভূপাতিত করার জন্য আমেরিকা মুজাহিদদের স্টিঙ্গার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে। বাবরাক কারমালের স্থলে মুহাম্মদ নাজিবুল্লাহকে কম্যুনিস্ট সরকারের প্রধান করে সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯৮৮ : আমেরিকা ও পাকিস্তানের মধ্যস্ততায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।
১৯৮৯ : সোভিয়েত ইউনিয়ন সকল সেনা প্রত্যাহার করে। এ যুদ্ধে তাদের ১৫ হাজার সৈন্য নিহত হয়। সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার হলেও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে স্থানীয় মুজাহিদ গ্রুপগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু।
১৯৯২ : মুজাহিদ নেতা আহমদ শাহ মাসুদের নেতৃত্বে মুহাম্মদ নাজিবুল্লাহ সরকারের পতন। মুজাহিদদের অন্তর্দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে।
১৯৯৩ : মুজাহিদ নেতা বুরহানুদ্দিন রব্বানিকে প্রেসিডেন্ট করে নতুন সরকার গঠন হলেও অন্তর্দ্বন্দ্ব বজায় থাকে।
১৯৯৪ : কাবুল ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে যুদ্ধ কমে এলেও অন্যান্য অঞ্চলে গৃহযুদ্ধ চলতে থাকে। এ বছর মোল্লা মুহাম্মদ উমর নামের একজন ধর্মীয় শিক্ষক তার কিছু ছাত্র নিয়ে ‘তালেবান’ নামে নতুন এক মুজাহিদ সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটান। কিছুদিনের মধ্যেই তারা কান্দাহার দখল করে নেন এবং রাজধানী কাবুল দখলের প্রস্তুতি শুরু করেন।
আফগানিস্তানের মূল মূল শহর ও প্রদেশের নাম এবং জনসংখ্যা :
Rank | Name | Province | Pop. | ||
---|---|---|---|---|---|
Kabul Kandahar |
1 | Kabul | Kabul Province | 3,289,000 | Herat Mazar-i-Sharif |
2 | Kandahar | Kandahar Province | 491,500 | ||
3 | Herat | Herat Province | 436,300 | ||
4 | Mazar-i-Sharif | Balkh Province | 368,100 | ||
5 | Jalalabad | Nangarhar Province | 306,500 | ||
6 | Kunduz | Kunduz Province | 304,600 | ||
7 | Ghazni | Ghazni Province | 270,000 | ||
8 | Taloqan | Takhar Province | 219,000 | ||
9 | Puli Khumri | Baghlan Province | 203,600 | ||
10 | Khost | Khost Province | 180,214 |
১৯৯৬ : দৃশ্যপটে হাজির হন আল-কায়েদা নেতা উসামা বিন লাদেন। যিনি এর আগে বিভিন্ন মুজাহিদ গ্রুপের সঙ্গে থেকে সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। উসামা বিন লাদেন ও আল-কায়েদার সহায়তায় তালেবানদের কাবুল দখল এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লাহকে ফাঁসি দেয়া হয়।
১৯৯৭ : পাকিস্তান ও সৌদি আরব কর্তৃক তালেবান শাসনকে বৈধতা প্রদান। আফগানিস্তানের দুই-তৃতীয়াংশে তালেবান শাসন প্রতিষ্ঠা। তবে তালেবানরা আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শহর মাজার-ই-শরিফ দখলে ব্যর্থ হয়।
১৯৯৮ : কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় মার্কিন দূতাবাসে বোমা হামলার দায়ে আমেরিকা উসামা বিন লাদেনকে হত্যা করতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা শুরু করে।
১৯৯৯ : জাতিসংঘের সহায়তায় তালেবান ও উত্তরাঞ্চলীয় জোটের নেতা আহমদ শাহ মাসুদের মধ্যে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন। কিছুদিন পরই দুই দলের বিবাদে শান্তিচুক্তি ভেস্তে যায়। তালেবান কর্তৃক মাজার-ই-শরিফ দখল এবং শিয়া মতাবলম্বী হাজারা সম্প্রদায়ের লোকদের হত্যা। জাতিসংঘ কর্তৃক আফগানিস্তানের ওপর অবরোধ আরোপ।
২০০১ মার্চ : আন্তর্জাতিক মহলের অভিমত উপেক্ষা করে তালেবান আফগানিস্তানের বামিয়ান অঞ্চলে ২ হাজার বছর আগের বুদ্ধমুর্তি ধ্বংস করে।
আফগানিস্তানে জাতিগত পরিসংখ্যান:
Ethnic group | World Factbook c. 2013 estimate[2] |
---|---|
Pashtun | 42% |
Tajik | 33% |
Hazara | 9% |
Uzbek | 9% |
Aimak | 4% |
Turkmen | 3% |
Baloch | 2% |
others (Pashayi, Nuristani, Pamiri, Arab, etc.) | 4% |
২০০১ মে-জুলাই : তালেবান সরকার সে দেশের নাগরিকদের পরিপূর্ণভাবে ইসলামি শাসন মেনে চলার আদেশ জারি করে।
২০০১ সেপ্টেম্বর ৯ : উত্তরাঞ্চলীয় জোটের শীর্ষনেতা আহমদ শাহ মাসুদ অজ্ঞাত এক আল-কায়েদা সদস্যের আত্মঘাতী বোমা হামলায় আহত হন এবং কয়েকদিন পর মারা যান।
২০০১ সেপ্টেম্বর ১১ : আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে বিমান ধ্বংস। কয়েক হাজার মানুষ নিহত। ওয়াশিংটন এ হামলার জন্য উসামা বিন লাদের ও আল-কায়েদাকে দায়ী করে।
২০০১ সেপ্টেম্বর ২০ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তালেবান সরকারকে আফগানিস্তানে অবস্থানরত বিন লাদেন ও আল-কায়েদা সদস্যদের তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায়। তালেবান মুখপাত্র মোল্লা আবদুস সালাম জায়িফ কোনো প্রমাণ ছাড়া তাদের তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানান।
২০০১ অক্টোবর ৭ : পাকিস্তানের সহায়তায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী আফগানিস্তানের ওপর বিমান ও পদাতিক হামলা শুরু করে।
২০০১ নভেম্বর ১৩ : তালেবান বাহিনী রাজধানী কাবুল ছেড়ে চলে যায় এবং উত্তরাঞ্চলীয় জোট কাবুল দখল করে।
২০০১ ডিসেম্বর ৫ : জার্মানির রাজধানী বন-এ আফগান গোত্রীয় নেতা হামিদ কারজাইকে আফগানিস্তানের অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হয়।
২০০২ জুন : আফগান গোত্রীয় নেতাদের নিয়ে লয়া জিরগা কাউন্সিল অনুষ্ঠিত। হামিদ কারজাইকে সরকারপ্রধান ঘোষণা।
২০০২ জানুয়ারি : ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বহুরাষ্ট্রীয় বাহিনীর আফগানিস্তানে প্রবেশ। তালেবান মুখপাত্র মোল্লা আবদুস সালাম জায়িফকে পাকিস্তান থেকে গ্রেফতার করে মার্কিন বাহিনী।
২০০৩ : ন্যাটো কর্তৃক কাবুলের দায়িত্বভার গ্রহণ। তবে দেশব্যাপী তালেবান হামলা অব্যাহত।
২০০৪ : আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত এবং হামিদ কারজাই প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
২০০৫ : পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত। তালেবানরা আগের চেয়ে শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং ২০০১ সালের পর মার্কিন বাহিনী সবচে বেশি সেনা নিহত ও ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
২০০৬ জুন : দক্ষিণাঞ্চলে তালেবানের আত্মঘাতী হামলা থামাতে ১০ হাজার আফগান ও কোয়ালিশন বাহিনী নিয়ে অপারেশন মাউন্ট থার্স্ট শুরু।
২০০৬ আগস্ট-সেপ্টেম্বর : ন্যাটো বাহিনী তাদের ৫৭ বছরের ইতিহাসে সবচে ভয়াবহ হামলা পরিচালনা করে। তালেবানের আত্মঘাতী হামলা জোরদার।
২০০৭ জুলাই : তালেবান ২৩ কোরিয়ানকে জিম্মি করে বন্দী বিনিময়ের প্রস্তাব দেয়। আফগান সরকার প্রস্তাব নাকচ করে দিলে জিম্মিদের হত্যা করা হয়।
২০০৮ ফেব্রুয়ারি : কান্দাহারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত। হামলার দায় অস্বীকার তালেবানের।
গোলাপী অংশ আফগান সরকার-ন্যাটোর দখলে, সাদা অংশ তালেবানদের দখলে:
Area of operations |
|
---|---|
Size |
|
২০০৮ জুলাই : আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত।
২০০৮ আগস্ট : কাবুলের কাছাকাছি বামিয়ান মার্কিন ক্যাম্পে তালেবানের হামলা। অন্য আরেক হামলায় ফ্রান্সের ১০ প্যারাট্রুপার নিহত এবং ২০ জন আহত।
২০০৮ সেপ্টেম্বর : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জোরদার আক্রমণের লক্ষ্যে আফগানিস্তানে নতুন করে আরও ৪,৫০০ সেনা প্রেরণ করেন।
২০০৯ অক্টোবর : হামিদ কারজাই দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।
২০০৯ ডিসেম্বর : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করতে নতুন করে আরও ৭০ হাজার সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন।
২০০৯ ডিসেম্বর : এক আল-কায়েদা ডাবল এজেন্টের আত্মঘাতী হামলায় খোস্তে সিআইএ দপ্তরের ৭ এজেন্ট নিহত।
২০১০ জুলাই : বহুল বিতর্কিত ওয়েবসাইট ‘উইকিলিকস’ আফগান যুদ্ধ সম্পর্কিত আমেরিকার হাজার হাজার ডকুমেন্ট অবমুক্ত করে দেয়।
২০১০ নভেম্বর : পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ন্যাটো জানায়, তারা ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে নিরাপত্তার দায়িত্ব সে দেশের সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দেবে।
২০১১ ফেব্রুয়ারি : ২০০১ সালের পর বোমা হামলায় সবচেয়ে বেশি বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২০১১ এপ্রিল : কান্দাহার জেল ভেঙে প্রায় ৫০০ তালেবানের পলায়ন।
২০১১ সেপ্টেম্বর : প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রব্বানি তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের প্রাক্কালে নিহত।
২০১২ জানুয়ারি : আফগান সরকার ও মার্কিন অফিসিয়ালদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য তালেবান কর্তৃপক্ষ দুবাইয়ে তাদের অফিস খোলার ব্যাপারে একমত হয়।
২০১২ ফেব্রুয়ারি : বাগরাম এয়ারবেসে কুরআন পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে অন্তত ৩০ জন আফগানি নিহত। মার্কিন বাহিনীর দাবি, এসব কুরআনে তালেবান বন্দীরা বিভিন্ন বার্তা বিনিময় করতো। এতে দুইজন সেনাও নিহত হয়।
২০১২ জুলাই : টোকিওতে বিভিন্ন দাতা সংস্থা কর্তৃক আফগানিস্তানের বেসামরিক লোকদের সাহায্য করতে ১৬ বিলিয়ম মার্কিন ডলার ত্রাণ সহায়তার আশ্বাস।
২০১২ আগস্ট : মার্কিন বাহিনীর তদন্তে ছয় সৈন্যের ব্যাপারে কুরআন পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তিন জন মেরিন সেনার বিরুদ্ধে নিহত তালেবান যোদ্ধার গায়ে পেশাব করার প্রমাণ সাব্যস্ত হয়। তাদের বিভিন্ন শাস্তির আওতায় আনা হয়।
২০১৩ জুন : সামরিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ন্যাটোর কাছ থেকে আফগান বাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ।
২০১৪ জানুয়ারি : কাবুলের ডিপ্লোমেটিক জোনের এক রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় আইএমএফ-এর কান্ট্রি হেডসহ ১৩ বিদেশি কূটনীতিক এবং শতাধিক নিহত।
২০১৪ সেপ্টেম্বর : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবদুল্লা আবদুল্লাহ এবং আশরাফ গনি ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাবে সম্মত।
২০১৪ অক্টোবর : মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী আফগানিস্তানে কমব্যাট অপারেশন সমাপ্তির ঘোষণা দেয়। সর্বোচ্চ আফিম উৎপাদনের রেকর্ড।
২০১৪ ডিসেম্বর : ন্যাটোর ১৩ বছরের যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা।
২০১৫ জানুয়ারি : ইসলামিক স্টেট (আইএস) তালেবান নিয়ন্ত্রিত পূর্ব আফগানিস্তানের নাগারহার অঞ্চল দখল করে নেয়।
২০১৫ মার্চ : প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তান থেকে ক্রমান্বয়ে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
২০১৫ মে : কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবান ও আফগান সরকার শান্তি আলোচনায় বসে। তবে তালেবানরা বিদেশি সৈন্যদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান বন্ধের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানায়।
২০১৫ জুলাই : তালেবানরা জানায়, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা উমর এক বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মোল্লা আখতার মনসুর।
২০১৫ সেপ্টেম্বর : তালেবানদের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজ দখল।
২০১৫ নভেম্বর : মোল্লা রসুল নামে একজন উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় নিজেকে নতুন তালেবান নেতা বলে দাবি করে। তবে পরের বছরই তালেবানদের হাতে এ দল নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।
২০১৬ মে : পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে তালেবানের শীর্ষনেতা মোল্লা মনসুর মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত।
২০১৬ আগস্ট-অক্টোবর : হেলমন্দের লশকর গাহ এবং কুন্দুজ তালেবানের পুনঃদখল।
২০১৭ ফেব্রুয়ারি : উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলে আইএস’র তৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষণ।
২০১৭ মার্চ : কাবুলের একটি হাসপাতালে তথাকথিত আইএস’র হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত।
২০১৭ আগস্ট : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে নতুন করে সৈন্য প্রেরণের ঘোষণা দেন।
২০১৮ মার্চ : কাবুলে এক অ্যাম্বুলেন্স গাড়ীবোমা হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত। তালেবান হামলার দায় স্বীকার করেনি।
২০১৮ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর : তালেবান ও মার্কিন অফিসিয়ালদের মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরু।
২০১৮ ডিসেম্বর : অবশিষ্ট ১৪ হাজার মার্কিন সেনা থেকে ৭ হাজার সেনা ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সূত্র : আলজাজিরা ও বিবিসি