বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
আকরাম উদ্দিন:
শহরের জেল রোড সবজি বাজার এলাকায় নদীর তীর ভাঙার অবস্থা আবারও প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রায় ১০ মাস আগে একই স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ভাঙন এলাকা মেরামত করা হয়। গত ক’দিন ধরে আবারও একই স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙন এলাকা দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও সবজি ব্যবসায়ীদের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সবজি ব্যবসায়ীদের দায়ী করে বলেন,‘শহরের জেল রোড এলাকায় বারিক মিয়ার দোকানের পাশে নদীর তীরের ভাঙনে গত মার্চ মাসে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত কাজ হয়েছিল। ওই সময় ব্যবসায়ীদের বলে দেয়া হয়েছিল ময়লা যাতে ওইখানে না ফেলেন তাঁরা। এ কথা ব্যবসায়ীরা কেউ শুনেননি। তাঁদের ময়লা ফেলার কারণে পুনরায় নদীর তীরে ধস নেমেছে।
এদিকে, নদীর তীরে ভাঙন দেখা দেওয়ায় এবং জন চলাচলের পাকা রাস্তা নদীতে বিলীন হওয়ায় পথচারীরাও দায়ী করছেন সবজি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা বলছেন, সবজির ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা না ফেললে এই স্থানে ভাঙন দেখা দিতো না। তাঁদের ফেলা ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে আবারও এই স্থানে ভাঙন ধরেছে।
জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে থেকে নদীর তীরে ফাটল দেখা দেয়। প্রায় পনের দিনের ব্যবধানে ভেঙে ৬ ফুট নিচে নেমে যায় নদীর তীর। ভাঙনের ফলে জেল রোড এলাকার বাসিন্দা অ্যাড. নুরুল ইসলামের, অ্যাড. আজিজুর রহমানের বাসার সামনের জন চলাচলের পাকা রাস্তাসহ নদীর তীরের বড় একটি অংশ ভেঙে পড়ে। ভাঙন এলাকার পশ্চিম দিকের বারিক মিয়ার দুইটি দোকান ঘর ভেঙে পড়েছে। ব্যবসায়ী তরুণ দে, সেজলু, টিপু রজকসহ আরও কয়েকজনের বসতঘর ও দোকান ঘরের বেশ কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া জেল রোড ফেরিঘাটের পশ্চিমে সবজির বাজারের আরও দুই স্থানে নদীর তীর এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
ব্যবসায়ী রনি আহমদ, তরুণ দে ও টিপু রজক বলেন,‘প্রতি বছর নদী ভাঙনের কবলে পড়ি আমরা। নদীর তীরের ভাঙনে আমাদের দোকান ঘর বিলীন হয়ে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। গত বছর এই জায়গা সংস্কার কাজ হলেও পুনরায় নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি আমরা। অন্য বারের ভাঙনের চেয়ে এবারের ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। তাই দ্রুত সংস্কারের দাবি আমাদের।’
রবিবার সকালে এই রাস্তা দিয়ে সবজির বাজারে আসা পথচারী আমির হোসেন, মিন্নত আলী, স্বপন কুমার বর্মণ, বিজয় দাস ও সাজাউর রহমান বলেন,‘এই স্থানে একবার নদী তীরে ভাঙন দেখা দেওয়ায় দ্রুত মেরামত কাজ হয়েছে। বার বার ভাঙলে এই জায়গার কাজ হবে না। এখন এই কাজ করে দিতে হবে সবজি বাজারের ব্যবসায়ী যারা প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভাঙনের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের চলাচলের পাকা রাস্তাও নষ্ট হয়েছে ভাঙনের কবলে পড়ে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক ভুইয়া বলেন,‘জেল রোড এলাকায় বারিক মিয়ার দোকানের পাশে নদীর তীরের ভাঙনে গত মার্চ মাসে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ হয়েছিল। ওই সময় ব্যবসায়ীদের বলে দেয়া হয়েছিল ময়লা যাতে ওইখানে না ফেলেন তাঁরা। এ কথা ব্যবসায়ীরা শুনেননি। তাঁদের ময়লা ফেলার কারণে পুনরায় নদীর তীরে ভাঙন ধরেছে।’