বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব নবীর আগমনে, সুরভিত পরিবেশে পুলকিত বিশ্ব আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা

আমনের ভাল ফলন

আকরাম উদ্দিন:  
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মত বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানের হাওরে এবার আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে বলে দাবি কৃষকের। কৃষকদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে একমত পোষণ করে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং তেমন পোকার আক্রমণ ছিল না আমন জমির ধান গাছে।
ইতোমধ্যে হাওরজুড়ে ধান পাকা শুরু হয়েছে। অগ্রহায়ণের প্রথম দিন থেকে কোনো কোনো জমিতে ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। এবার বেশি পরিমাণে ভাল ফলন হয়েছে বীনা ১৭ ও ইরি-৪৯ নম্বর বীজের ধান। গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি ফলন হয়েছে এবার। কৃষকরা জানান, এবার পরিমাণ মত বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির ফলে ধান গাছে পোকায় তেমন আক্রমণ করতে পারেনি। সময়মত ধান গাছ বড় হয়েছে এবং শীষে ধানের পরিমাণ বেশি হয়েছে। এসব ধানের জাতের মধ্যে ফলন বেশি পরিমাণে ভাল হয়েছে বীনা-১৭ নামের আমন ধানের ফসল। এই জাতের ধান প্রতি কেয়ারে ১৮ থেকে ২০ মণ উৎপন্ন হয়েছে। ইরি ৪৯ প্রতি কেয়ারে ১৪ থেকে ১৫ মণ, ইরি ৩২ প্রতি কেয়ারে ১২ থেকে ১৩ মণ, বি.আর. ১১ ও বীনা ৭ প্রতি কেয়ারে ১১ থেকে ১২ মণ ধান উৎপন্ন হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি।
সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বেরীগাঁও গ্রামের পাশে হাওরের জমিতে সরেজমিনে গেলে কৃষকরা এই প্রতিবেদককে জানান, এবার আমন ধান প্রতি কেয়ারে সর্বোচ্চ ২০ মণ এবং সর্বনি¤œ ১১ মণ করে উৎপন্ন হয়েছে। তবে বীনা-১৭ নামের আমন ধানের ফসল হয়েছে প্রতি কেয়ারে ১৮ থেকে ২০ মণ এবং ইরি ৪৯ প্রতি কেয়ারে ১৪ থেকে ১৫ মণ। এ সময় জমিতে ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক জাকির হোসেন, আব্দুল হানিফ, মনির হোসেন, ওয়াজ কুরুনি, হানিফ মিয়া, আবুল মিয়া, আব্দুস ছত্তারসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জমির মালিক কৃষক চাঁন মিয়া বলেন,‘আমি ৫ কেয়ার জমি আবাদ করেছি। বীনা ২২ ও ইরি ৪৯ জমিতে আমার ফসল ভাল হয়েছে। এবার পরিমাণ মত বৃষ্টি হওয়ায় পোকার আক্রমণ তেমন ছিল না। হাওরে জমিতে তাকালে ধানের রঙ শুধুই স্বর্ণের মত। যেমন ধানের রঙ, তেমন বাড়তি ফলন। ধানের ভারে শীষ ঢলে পড়ছে দেখলে মন ভরে উঠে।’
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, ‘এবার সদর উপজেলায় এগার হাজার বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে জমিতে ধান পাকা শুরু হয়েছে। অগ্রহায়ণের শুরু থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। গত বারের তুলনায় ফসল অনেকটা ভাল হয়েছে।’


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com