বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এক অন্যরকম ও উন্নত বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরতে সরকার কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।
বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রসহ ৯টি গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভিডিও কনফারেন্সের সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরিন পারভীন, সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাশ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমার রাজু, সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি আমিনুল হক প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে। এখন আর বিদ্যুতের জন্য গ্রাহকদের ঘুরতে হয় না। বরং সংযোগ পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাহকদের কাছে।
তিনি আরও বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকার বদ্ধ পরিকর। এর জন্য সুনির্ধারিত পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। ২০২০ সালের মধ্যে আরও বেশি উন্নয়ন ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এক উন্নত বাংলাদেশকে দৃশ্যমান করতে কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যত হচ্ছে, মানুষের মাথাপিছু আয় তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন চাহিদার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। সেই চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি।
উল্লেখ্য, ২০১২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের কুমারগাঁও সাবস্টেশন উদ্বোধন করতে এলে বর্তমান বিদ্যুৎ গ্রিডের পরিচালক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন সুনামগঞ্জে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। প্রয়োজনীয়তা বুঝে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুনামগঞ্জে একটি সাবস্টেশন নির্মাণের নির্দেশ দেন। পরে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে শহরের সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের দেখার হাওরের পাশে ইকবালনগরে উপকেন্দ্র নির্মাণের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে এটি নির্মাণ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ। এটি নির্মাণের কাজ পায় সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘এবিপি’। ছাতক থেকে সঞ্চালনসহ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ পাওয়ার গ্রিডের চেয়ারম্যান নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। দীর্ঘ চার বছর দুটি গ্রিড স্টেশন, নতুন খুঁটিসহ ছাতক থেকে অত্যাধুনিক সঞ্চালন লাইনের কাজ চলতি বছরের প্রথম দিকে শেষ হয়।