বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন
সাকিব জাফরী ।। মক্কা থেকে
বইমেলা। যেখানে জ্ঞান বিতরণ হয় কাগজ আর কালির মূল্যে। যেখানে কেউ কোনোদিন ঠকে না, ঠকার সম্ভাবনাও নেই। পাঠক-লেখক-প্রকাশকের মাঝে সেতুবন্ধন। কাছে আসার মাধ্যম। একটি দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির স্বাক্ষর।
সৌদি আরবে বড় যে দুটি আন্তর্জাতিক বইমেলা হয়ে থাকে তার একটি বাণিজ্যিক রাজধানী জেদ্দায়।
এই বইমেলার সূচনা ২০০০ সাল থেকে হলেও প্রথম কিছু বছর এলোমেলো কাটে। তবে ২০১৫ থেকে নিয়মিতই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এ বইমেলা।
লোহিত সাগরের তীরে গড়ে ওঠা দক্ষিণ অবহুর নামক পর্যটন স্পটে মেলার অবস্থান।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মাঝে একমাত্র জেদ্দাতেই সমুদ্র তীরে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সাড়ে বিরাশি হাজার স্কয়ার ফিটের মেলা প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণ করছে প্রায় ৪০টি দেশের ৪০০-এর বেশি প্রকাশনা সংস্থা।
ইউরোপ-আমেরিকার পাশাপাশি উপমহাদেশ থেকে এতে অংশগ্রহণ করেছে ভারত ও পাকিস্তান। গত বছর বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে একটি স্টল রাখা হলেও মেলা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এবার বিশ্বসাহিত্যের এই মিলনমেলায় উড়তে দেখা যাবে না লাল সবুজ পতাকা।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য বিব্রতকর। অসম্মানজনকও বটে।
গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বইমেলা শেষ হবে আগামী ২০১৯ সালে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। পুরো সপ্তাহজুড়ে সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও শুক্রবারে থাকবে বিকেল চারটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত।
অনেকেই বিভিন্ন সময় দুর্লভ আরবি কিতাবের খোঁজ করে থাকেন। তাদের জন্য এ মেলা এক সুবর্ণ সুযোগ। সম্ভব হলে প্রবাসীদের পাশাপাশি পবিত্র ওমরাহ আদায়কারীগণও একবার ঢুঁ মেরে আসতে পারেন। পরিচিত হলেন নতুন সংস্কৃতির সাথে, এগিয়ে গেলেন সমৃদ্ধির পথে। Islamtimes