বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাত্তর বছর বয়সে পা রাখলেন বিএনপি মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ছিল তার ৭১তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের ওই দিনে তার জন্ম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল ভোরে স্ত্রী রাহাত আরা, ছোট মেয়ে মির্জা সাফারুহ ও নাতীর শুভেচ্ছা নিয়ে দিন শুরু করেন মির্জা ফখরুল। এরপর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মির্জা শামারুহের সাথে কথা বলেন তিনি।
ঢাকার কয়েকজন কাছে বন্ধুও টেলিফোন করে তাকে ‘হ্যাপি বার্থ ডে’ জানিয়েছেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে নিজের চেম্বারে আসেন বিএনপি মহাসচিব।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মো: মুনির হোসেনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও তাদের দলের মহাসচিবকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। নেতাদের নিয়ে বিস্কুট-চা খেয়ে সাংগঠনিক কাজকর্ম সারেন ফখরুল।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে প্রথমে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালে হাসিমুখে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বৃদ্ধ মানুষদের জন্মদিনের কথা বললে তাদের মৃত্যু দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়। বয়স এখন কত? জানতে চাওয়া হলে হেসে হেসে ফখরুল বলেন, একাত্তরে পড়লাম।
মির্জা ফখরুলের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি, ঠাকুরগাঁওয়ে। বাবা মরহুম মির্জা রুহুল আমিন মুসলিম লীগের নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মির্জা ফখরুল ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি। ঢাকা কলেজসহ কয়েকটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। সরকারি চাকরি ছেড়ে আশির দশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি।
২০০১ সালে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চার দলীয় জোট সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব হওয়ার আগে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন ফখরুল। তারেক রহমান দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর ওই পদে মির্জা ফখরুলকে আনেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।