বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ অপরাহ্ন
আকরাম উদ্দিন ::
সদর উপজেলার সুরমা ও জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে অবৈধ ট্রলি, পিকআপ ও মটরসাইকেলে কেড়ে নিয়েছে ১০ প্রাণ। চিরদিনের পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আরও ৩ জন। গত ৩ বছরে দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ যানবাহনের ধাক্কায় এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানান একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন, আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন ৩ জন।
সড়ক দুর্ঘটনায় সুরমা ইউনিয়নের মারা গেছেন ৬ জন। গুর”তর আহত আছেন ১ জন। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আরও ২ জন।
স্থানীয়দের দাবি এসব অবৈধ ও বেপরোয়া যান চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ভৈষারপাড় এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান মারা যান। পরবর্তীতে মহিউদ্দিনের ছেলেও মারা যান সড়ক দুর্ঘটনায়। আকলিমা বেগমের ৭ বয়সী ছেলে রাসেল আহমদ সড়কের কিনারে থাকা অবস্থায় পিকআপ ধাক্কায় মারা যান। পিকআপের ধাক্কায় সড়ক দুর্ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা খুর্শিদ মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম মারা যান। পার্বতীপুর গ্রামের হাসান আলীর ৭ বছরের ছেলে ট্রলির আঘাতে মারা যান। ষোলঘরের সুলতান মিয়ার ১৬ বছর বয়সী ছেলে হালুয়ারঘাট এলাকায় কালভার্ট সেতুর পাশে পিকআপ এর ধাক্কায় মারা যান।
গত দুই সপ্তাহ আগে ভৈষারপাড় এলাকায় সিএনজি ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুর”তর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন র”স্তুম আলী নামে আরও এক ব্যক্তি।
জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আনিস মিয়ার মাতা হালিমা বেগম (৮০) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ওইদিন সকালে এক বেপরোয়ার চালক মটরসাইকেল তার উপরে তোলে দেয়। সাথে সাথে মারা যান তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে নুরুল হাসান (৭) মটর সাইকেল এর আঘাতে সাথে সাথে মারা যান।
জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের বাসিন্দা ও কুরিয়া প্রবাসী মাসুক মিয়ার ছেলে তুহিন আহমেদ (৪) মটরসাইকেলের আঘাতে মারা গেছেন। ওইদিন দুপুরে সে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। বেপরোয়া চালক মটরসাইকেল তুহিনের উপরে তোলে দেয়। সাথে সাথে সে মারা যায়।
ঘাসীগাঁও গ্রামের আল আমিন নামের আরও এক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন বলে জানান একাধিক ব্যক্তি।
জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের হান্নান মিয়ার স্ত্রী সাবিনা আক্তার চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় সুরমা ইউনিয়নের ভৈষারপাড় এলাকায় অটোগাড়িতে বসা অবস্থায় পিছন দিক থেকে পিকআপ ধাক্কা দেয়। গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের দুই স্থানে হাড় ভেঙে যায় তার। অপারেশন করে রড লাগানোর পরও হাঁটতে পারছেন না। প্রতি মাসে চিকিৎসায় ১০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম বেগম চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মীরেরচর মাদ্রাসার সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়েছেন। ওইদিন সকালে একটি বেপরোয়া পিকআপ তার পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। এতে গুরুতর আহত তিনি। এখনও চিকিৎসা চলছে মরিয়ম বেগমের।