বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোববার ছিলো মনোনয়ন যাচাই-বাচাই। জেলার ৫টি আসনের বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। জেলার ৫টি আসনে ৫২ জস প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও তার মধ্যে ১২জন প্রার্থীর মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী বিএনপি’র ৪ জন, জাতীয় পার্টির ১ জন, জাকের পার্টির ১ জন, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের ১জন, জাসদের ১ জন ও স্বতন্ত্র ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। ওইদিন সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন।
যাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের জাসদ মনোনীত প্রার্থী একেএম ওহিদুল ইসলাম কবির, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল। সুনামগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রুহুল আমিনের। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খসরু, বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী আব্দুছ সাত্তার, বিএনপি মনোনয়ন বঞ্চিত আরেক প্রার্থী আশরাফুল হক সুমন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ শাহ মুবশ্বির আলী, সুনামগঞ্জ ৪ আসনে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজু আহমদের। এছাড়াও এই আসনে দিলোয়ার হোসেন নামের আরেক প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রনজিৎ কুমার দে’র স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় রনজিৎ কুমার দের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি কলিম উদ্দিন মিলনের মনোনয়নের বিষয়টি ঋণ খেলাপির জঠিলতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তার মনোনয়ন বাতিল করেননি জেলা নির্বাচন কমিশন।
এদিকে সুনামগঞ্জের ৫টি আসনের যাচাই-বাছাই শেষে বর্তমান চার সাংসদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন, সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা) আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-২(দিরাই-শাল্লা) আসনে ড. জয়া সেন গুপ্তা, সুনামগঞ্জ-৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর) আসনে এমএ মান্নান ও সুনামগঞ্জ-৫(ছাতক-দোয়ারা) আসনে মুহিবুর রহমান মানিক।
তাছাড়া মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী সুনামগঞ্জ-৪ (সুনামগঞ্জ সদর- বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সাংসদ অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগ থেকে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান মনোনয়ন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। তার মনোনয়নও বৈধ ঘোষনা করেছে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা। তাছাড়া সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাড. আব্দুল মজিদ এবার সুনামগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। অপরদিকে অ্যাড. আব্দুল মজিদের পুত্র অ্যাড. নাজমুল হুদা হিমেল এবার সুনামগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন। তার মনোনয়নও বৈধ ঘোষনা করা হয়।
অপরদিকে সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক মন্ত্রী মেজর ইকবাল ও মমতাজ ইকবালের পুত্র ইনান ইসমাম হোসের চৌধুরী। তার মনোনয়নও বৈধ ঘোষনা করা হয়েছে।
জেলা রিটানিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, প্রার্থীদের বিভিন্ন জরুরি কাগজ না থাকা এবং ব্যাংক ঋণ খেলাপীর কারণে আমরা প্রাথমিকভাবে ১২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যাদের আবেদন অবৈধ বা বাতিল হয়েছে তারা আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।