মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন
আরিফ মুসতাহসান:
ফিলিস্তিনের জেরুজালেম রক্ষায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যদের সমন্বিত ফোরামের দ্বিতীয় কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ৭৪টি দেশের ৬০০জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ইস্তাম্বুল শহরে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে উদ্বোধনী বক্তব্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেন, আশাকরি জেরুজালেম ও ফিলিস্তিন ইস্যু উন্নয়নের জন্য সংসদ সদস্যদের ভুমিকা থাকবে। আলোচনার মাধ্যমে একটি কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হবে। ফিলিস্তিন ইস্যু শুধু ফিলিস্তিনে বসবাসকারী মানুষের জন্য নয়। এটা সারা মুসলিম বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এর সাথে কোনো নির্দিষ্ট রাষ্ট্র বা অঞ্চল জড়িয়ে নেই বরং এর সাথে ধর্ম জড়িয়ে আছে।
এরদোগান বলেন, ইসরায়েল জেরুজালেমের ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে দিতে পারবে না। তারা জোর খাটিয়ে কয়েকটি দূতাবাস সরিয়ে কিছুই করতে পারবে না। জেরুজালেমের আধ্যাত্মিক পবিত্রতা অব্যাহত থাকবেই।
তিনি বলেন, কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইজরায়েলকে সমর্থন করছে। ইসরায়েল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ ও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব কোনো বিশ্ব নীতির লঙ্ঘন হচ্ছেনা; সবাই চুপ করে আছে। এসব ইহুদীবিদ্বেষ নয়; আত্মচেতনা মূলক কথা।
ফোরামের সভাপতি হামীদ আল আহমার (ইয়েমেনী) তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, আল কুদ্বস সর্বদা ফিলিস্তিনের রাজধানী থাকবে। ফিলিস্তিনের সমর্থনে সারাবিশ্বে শাখা গঠিত হবে। এর লক্ষ্য থাকবে আন্তর্জাতিকভাবে ইসরায়েলের বিচার নিশ্চিত করা এবং অসহায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় এগিয়ে আসা।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকার রাজধানী স্থানান্তরিত করার বিরুদ্ধে হাজার-হাজার সংসদ সদস্যের সাক্ষর সম্বলিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুইবছর আগে এই ফোরামের উদ্যোগে এরদোগান ফিলিস্তিনে গিয়ে কেঁদেছিলেন। কিন্তু আজ জেরুজালেম কাঁদছে; বিশ্ব বিবেক তুমি কোথায়?
তিনি বলেন, আমরা ৬০০ সংসদ সদস্যদের উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ জানাই। কারণ তাঁরা ফিলিস্তিনকে ভুলতে পারেনি। ৭৪টি দেশ দৃঢ়তার সাথে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ফিরে না পাওয়া অবদি শেষ বিন্দু পর্যন্ত অটল থাকবে।