বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব নবীর আগমনে, সুরভিত পরিবেশে পুলকিত বিশ্ব আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা

একটি জঘন্যতম পাপকাজ -গীবত

একটি জঘন্যতম পাপকাজ -গীবত

সোহেল আহম্মেদ:

আজকাল একটি গুনাহকে আমরা গুনাহ মনেই করিনা। কয়েকজন একত্রিত হলেই সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অপরের সমালোচনায় লিপ্ত হই। বক্তা বা শ্রোতা কারো কাছেই ওই সমালোচনাকে গীবত বলে মনে হয়না।
অথচ কারো অনুপস্থিতিতে এমন কোন কথা বলা যা শুনলে সে কষ্ট পাবে তাই গীবত। আর এই গীবত একটি অতি ঘৃনিত ও জঘণ্যতম পাপকাজ। এটা জানার পরও এ থেকে আমরা বাঁচতে পারছিনা বরং দিন দিন এই গীবত আমাদের কাছে ঘি ভাতের মত প্রিয় হয়ে যাচ্ছে।

আসুন হাদীসের আলোকে জেনে নেই গীবতের সংজ্ঞা ও কুফল।
গীবতের সংজ্ঞা – হযরত আবু হুরাইরাহ রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান গীবত কাকে বলে? সাহাবীগণ আরজ করলেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই বেশি জানেন। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নিজ ( মুসলমান) ভাইয়ের (অনুপস্থিতিতে তাঁহার) সম্পর্কে এমন কথা বলা যা তাঁর অপছন্দ হয় (ইহাই গীবত)। কেউ আরজ করলো আমি যদি আমার ভাইয়ের এমন দোষ আলোচনা করি যা বাস্তবিকই তাঁর মধ্যে আছে ( তবে ইহাও কি গীবত হবে?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,যদি ওই দোষ যা তুমি বর্ণনা করছো তাঁর মধ্যে থাকে তবে তুমি তাঁর গীবত করলে, আর যদি ওই দোষ যা তুমি বর্ণনা করছো তাঁর মধ্যে না থাকে তবে তুমি তাঁর উপর অপবাদ
দিলে। ( মুসলিম)

গীবতের কুফল
হযরত আবু সা’দ ও হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহুমা বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, গীবত করা যিনা হইতেও বেশি কঠিন (গুনাহ)। সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! গীবত যিনা হইতেও কঠিন (গুনাহ) কিভাবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, মানুষ যদি যিনা করে ফেলে অতঃপর তাওবা করে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাঁর তাওবা কবুল করেন। কিন্তু গীবতকারীকে যতক্ষণ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি মাফ না করে যার গীবত সে করেছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে তাকে মাফ করা হয়না। ( বায়হাকী)

আল্লাহ তাআ’লা আমাদেরকে এই ঘৃণিত ও জঘন্যতম পাপকাজ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। আমীন  incaf24


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com