বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন
–মাসুম আহমাদ
১১ মার্চ সোমবার ফজরের পরে একটানা আড়াই ঘন্টা বুখারী শরীফ পড়ান। তালাক বিষয়ক আলোচনা করতে গিয়ে ছাত্রদের ঝিমুনি দেখে স্বভাবসুলভ মজাও করেন।
দফতরি মুহাম্মাদ আলী ভাই সকালে খিচুড়ি দিলে তাও আহার করেন।
দারসের নির্ধারিত সময়ে আবার বুখারী শরীফ পড়ান।
যোহরের নামাজের পরে খাওয়াদাওয়া করেন।
বিকেলে আসাতিযায়ে কেরামের বৈঠক ছিলো। এজন্য হলরুম প্রস্তুত কিনা নিজে গিয়ে দেখে আসেন।
সন্ধ্যায় ছাতকে প্রোগ্রাম ছিলো। দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে গিয়ে ৪ ঘটিকার দিকে জেগে উঠেন। শরীর ঘেমে উঠেছে দেখে ভালোমতো গোসল করেন।
শরীরে অস্বস্তি করছিলো দেখে দফতরি কবীর ভাই পিঠ মালিশ করে দেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো দেখে ছেলে রাইহানকে ডাকবেন কিনা জানতে চাইলে না করেন।
একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে গেলে সহকারী মুহতামিম মাওলানা আসাদ উদ্দিন ও সহকারী মুফতি মাওলানা আবুল খায়ের বিথংগলী হাফিজাহুমাল্লাহকে ডেকে নিয়ে আসা হয়।
তারা এম্বুলেন্স আসার জন্য কল করলে এম্বুলেন্স আসে। এরমধ্যে শ্বাসকষ্ট কঠিন রূপ ধারণ করে নিয়েছে।
ধরাধরি করে গাড়িতে তোলা হলে জোরে কয়েকবার আল্লাহু আকবার বলেন। কালিমাও পড়েন। (সবসময় অত্যন্ত সুন্দরকরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতেন)
ওসমানী মেডিকেল কলেজে নেয়া হলে ডাক্তার জানান, হুজুর ইতোমধ্যে ইহজগৎ ত্যাগ করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। জন্ম ১৯৫৬ খৃস্টাব্দের ১৫ মার্চ। ইন্তেকাল ২০১৯ খৃস্টাব্দের ১১ মার্চ।