বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
আনাদোলু এজেন্সি:
‘হিজাব আমার স্বাধীনতা, হিজাব আমার নিরাপত্তা, হিজাব আমার পছন্দ, হিজাব আমার আচ্ছাদন’ এ স্লোগানে বিশ্বের কমপক্ষে ১৪০টি দেশের মুসলিম-অমুসলিম নারীদের অংশগ্রহণে পালিত হয়েছে এবারের ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’। দিবসটি সব নারীকে এ কথাই মনে করিয়ে দেয় যে, হিজাব শুধু মুসলিমরাই পরবে এমনটি নয়, বরং মুসলিম-অমুসলিম সবার জন্যই হিজাব নিরাপত্তা ও সম্মানের প্রতীক, যা ব্যবহারে নারী থাকে নিরাপদ।
ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক সোস্যাল নেটওয়ার্কের মাধমেই এ দিবসটির চেতনা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানির মতো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথম ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিশ্বের ৪৫টি দেশের রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা রাজনীতিক, স্কলার, বিশ্ববিখ্যাত গণমাধ্যম সিএনএন ও টাইম ম্যাগাজিনসহ বিভিন্ন দেশের নারীরা হিজাব দিবস পালন করেছিল।
আয়ারল্যান্ডের মুসলিম নারীরা ব্যতিক্রমী আয়োজনে শুক্রবার সপ্তম বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করেন। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্রথাগত ধ্যানধারণার সীমান্ত ভেঙে দাও’। ডাবলিন শহরের পোর্টবেলো অঞ্চলের একটি হোটেলে হিজাব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান আগত নারীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। তাদের বেশির ভাগই রঙবেরঙের জিলবাব এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ হিজাব পরিধান করে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তবে তাদের কেউই নেকাব বা এমন পর্দা, যা পুরো মুখমণ্ডল ঢেকে রাখে এমন হিজাব পরিধান করেননি আর এ ধরনের হিজাব আয়ারল্যান্ডে প্রচলিতও নয়। বিশ্ব হিজাব দিবসের অনুষ্ঠানে আগত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের গোলাপি হিজাব ও ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
হিজাব দিবস পালিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়ও। বহু সংস্কৃতির দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকরা কোনো বৈষম্য ছাড়াই ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মুসলমান নারীরা প্রায়ই মাথায় স্কার্ফ পরিধানের কারণে বৈষম্যের শিকার হয়। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকায় চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে জানান এ সম্প্রদায়ের সদস্যরা।
রাজধানী প্রিটোরিয়াতে বিশ্ব হিজাব দিবস উদযাপনের সময় মুসলিম এনজিও বায়তুস সালামনের জুওয়াইরিয়া আবু বকর গত রোববার আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বাধীনভাবে হিজাব দিবস উদযাপন করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের দেশ আমাদের বাধাহীনভাবে আমাদের ধর্মের অনুশীলন করতে দেয় এবং আমাদের ধর্মীয় পোশাক পরিধান করতে সক্ষম করে।’