বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিশ্ব নবীর আগমনে, সুরভিত পরিবেশে পুলকিত বিশ্ব আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা

সো‌ভি‌য়েত ইউ‌নিয়ন ছিল বাংলা‌দে‌শের প‌ক্ষে

সো‌ভি‌য়েত ইউ‌নিয়ন ছিল বাংলা‌দে‌শের প‌ক্ষে

৪ ডিসেম্বর ১৯৭১। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সমর সেন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের স্থায়ী প্রতিনিধি ইয়াকফ মালিক। ছবি সংগৃহীত

ফজলুল হক শাওন

৫ ডিসেম্বর। একাত্তরের এই দিনে মিত্রবাহিনীর বিমানবাহিনী ঢাকার আকাশ পুরোপুরি দখল করে নেয়। বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে পড়ে আর জাতিসংঘে বাংলাদেশকে নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এদিকে বাংলাদেশকে নিয়ে মার্কিন সরকারের বিশেষ উদ্যোগে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন বসে। এতে যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রতিনিধি সিনিয়র বু‌শের চেষ্টায় সোভিয়েত প্রতিনিধি কমরেড মালিক ভেটো প্রয়োগ করেন। ভে‌টো প্রয়োগের পূর্বে কমরেড মালিক বলেন, পাক সামরিক জান্তার নিষ্ঠুর কার্যকলাপের ফলে পূর্ব বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মূল লড়াইটা ছিল মূলত দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মা‌ঝে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ছিল বাংলাদেশের পক্ষে আর যুক্তরাষ্ট্র ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে পরিষদে তৃতীয় প্রস্তাব‌টি পেশ করে বেলজিয়াম, ইতালি ও জাপান।

এদিকে জাতিসংঘে চীনা প্রতিনিধিরা বলেন, কোনো শর্ত ছাড়াই পাকিস্তান থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে। সে সময় জাতিসংঘের সোভিয়েত ইউনিয়নের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াকফ মালিক। দীর্ঘদিনের ঝানু কূটনীতিক জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অব্যবহিত পরে ১৯৪৮ সালে এই পদে প্রথম যোগ দেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর কাটানোর পর মস্কো ফিরে যান সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে। সেই পথেই আবার ফিরে আসেন ১৯৬৮সা‌লে। একাত্তরের যুদ্ধের পুরো সময়টা মস্কোর হয়ে কূটনৈতিক ঝড়-ঝাপটা তাকেই সামলাতে হয়েছে। এই কাজে তার কাছে মিত্র ছিলেন জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি বাঙালি কূটনৈতিক সমর সেন।

ভারত যখন যুদ্ধ ঘোষণা করে নিউইয়র্ক তখন সকাল। টেলিফোনে মালিক ও সমর সেনের মধ্য কথা হলো তারা জানতেন ওয়াশিংটন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করবে। এ প্রস্তাব এক কথায় নাকচ করা সম্ভব হবে না, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে সবরকম যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সিদ্ধান্ত হলো যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিপরীতে পাল্টা প্রস্তাব তুলবে মস্কো। সেখানে সাদামাটা যুদ্ধবিরতি নয় রাজনৈতিক সমাধানের শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যে কথাটা অনুক্ত থাকল তা হলো, এই মুহূর্তে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যেভাবেই হোক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করানো যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্র ও আরও আটটি রাষ্ট্রের অনুরোধে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন শুরু হয় ৪ ডিসেম্বর, নিউইয়র্ক সময় বিকেল ৫টায়। পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৫ সদস্য ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মালিক ও সমর সেনের মধ্যে দিনের বেলা কয়েকদফা শলাপরামর্শ হয়েছে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাব উত্থাপনের আগে তারা পরিষদের আলোচনায় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে অংশগ্রহণের প্রশ্নটি তুলবেন। তিনি কয়েক মাস ধরেই নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন ভারত ও সোভিয়েত কূটনীতিকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

এফএইচএস/বিএ


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com