শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
কুয়াশার চাদরে মোড়ানো হিম শীতল সকালে ভেসে আসে পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ। যা রুপকথার মত বলে দেয় এক জলরাশির গল্প। নাম তার টাঙ্গুয়ার হাওর। এ জলরাশিতে শীতকালে উচ্ছ্বাস তুলে অতিথি পাখির দল।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার বিশাল জায়গা জুড়ে টাঙ্গুয়ার হাওর৷ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ হাওর পরিযায়ী পাখি আর মাছের অভয়ারণ্য৷ প্রতি শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে দুই-তিন মাসের জন্য অতিথি পাখি চলে আসে বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে।
হাওরপাড়ের শত শত গ্রামের লোকজনের এখন ঘুম ভাঙে অতিথি পাখির কলকাকলিতে। এ হাওরে প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি বিচরণ করে। অতিথি পাখির সঙ্গে আমাদের দেশীয় প্রজাতির পাখি বক, পানকৌড়ি, গাংচিল, মাছরাঙা যোগ হওয়ায় হাওরাঞ্চলের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয়ভাবে পরিচিত ছয়কুড়ি কান্দা ও নয়কুড়ি বিলের এ বিশাল জলরাশি ও স্থলভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে শীতের শুরু থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সাইবেরিয়া, নেপাল, অস্ট্রেলিয়াসহ শীতপ্রধান দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া, শনি, মাটিয়ান, কানামইয়্যা, পালই, সমসার হাওরসহ আশপাশের হাওরে এসব অতিথি পাখিরা অবস্থান নেয়।
এদের মধ্যে মৌলভীহাঁস, বালিহাঁস, লেঞ্জা, সরালি, পিয়ারি, কাইম, কালাকুড়া, রামকুড়া, মাথারাঙা, কানিবক, পানকৌড়িসহ অসংখ্য প্রজাতির পাখি অবাধে বিচরণ করছে। এসব পাখি হাওরের জীববৈচিত্র্যকে করেছে ভরপুর। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত পর্যটক টাঙ্গুয়ার হাওরে এসে মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখেন।