শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আজীবন সম্মাননা পেলেন জনাব ওসমান গণি ও শফিকুর রহমান মধু মিয়া বৃষ্টির ধারায় মুছে যাক “রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম পালন করি, নিজে সুস্থ থাকি অপরকে সুস্থ থাকতে উৎসাহিত করি” মঙ্গলকাটা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ‘MCTC’র এক যুগ পূর্তিতে আনন্দ ভ্রমণ ফেনিবিল ও কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের অমর একুশে উদযাপন ‘আব্দুল গণি ফাউন্ডেশন’ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা-২২ এর বৃত্তি প্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নারায়ণতলা মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের ডলুরা বর্ডারহাটে অনিয়ম ও মাদক বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দাখিল ২০০৪ ব্যাচ এর মিলনমেলা কোনাপাড়া সমাজকল্যাণ যুব সংঘের শীত বস্ত্র বিতরণ

দুদক আতঙ্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

দুদক আতঙ্কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

আঙিনা ডেস্ক :

ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি এবং শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ পেলেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দুর্নীতির কিছু প্রমাণও পেয়েছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। আর এ কারণেই দুর্নীতিগ্রস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত নেয়া ফি ফেরত দিচ্ছে বলেও জানা গেছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত ভর্তি ফি নেয়ার হচ্ছে- জাগো নিউজে এমন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর দুদক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভিযানে নামে। গত ১৬ জানুয়ারি অবৈধ ভর্তির খবরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিযানে যায় দুদকের একটি টিম। যদিও সেখানে তেমন কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দুদক থেকে জানানো হয়।

এর পরদিন রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে ভিআইপি কোটায় ভর্তি-বাণিজ্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের একটি দল ওই স্কুলে অভিযান চালায়। দলটি প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়।

এরপর কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়ে গত ২০ জানুয়ারি রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানের সময় স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়।

গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বেশ কিছু স্কুলে গোপনে অভিযানে যান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সেখানে গিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষকদের অনুপস্থিত দেখতে পান। এরপর চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে জানান, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা নিয়ে কাউকেই ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে দুদক দণ্ডবিধির ১৬৬ ধারা প্রয়োগ করবে।

এদিকে সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রশিদ ছাড়াই এক হাজার টাকা করে আদায় করার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদাকে সাময়িক বরখাস্ত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দুদক থেকে বলা হয়, এ বছর ভর্তি বাবদ প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আয় করেছেন। দুদকের এমন অভিযানে আতঙ্কে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন নামীদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডির জুনিয়র ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, স্ট্যামফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলি হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাড্ডার আলাতুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষ আতঙ্কে রয়েছে।

এমপিওভুক্ত কাকলি স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নিয়েছে। দ্রুতই এই ফি ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন স্কুলটির অধ্যক্ষ দীন মো. খান।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা অতিরিক্ত ফি নিয়েছি কারণ, আমাদের নতুন ভবন নির্মাণ করতে হচ্ছে। আর ভবন নির্মাণ বাবদসহ অন্যান্য ফি নেয়ার বিষয়টি অভিভাবকদেরকে জানানো হয়েছে। তারা দিতে রাজিও হয়েছে। তার সকল ডকুমেন্টও আছে আমাদের কাছে। তারপরও যদি দুদক অভিযানে আসে তাহলে আমরা সেসব তথ্য-প্রমাণ হাজির করবো। এ ছাড়া আমরা দ্রুতই বাড়তি অর্থ ফেরত দেবো।

রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্লে থেকে কেজি শ্রেণিতে ভর্তি ফি নিয়েছে ২৮ হাজার টাকা। প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে বেতনসহ ভর্তি ফি ৩০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। এই অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়া হবে কি না জানতে স্কুলটির অধ্যক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, অতিরিক্ত ফি ফেরত দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।

মাসুমা আক্তার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘আমরা গত কয়েকদিন ধরেই শুনেছি টাকা ফেরত দেবে, কিন্তু দিচ্ছে না। হয়তো দুদক অভিযান না আসা পর্যন্ত কোনো কাজ হবে না।

এদিকে সরকারি নীতিমালা অনুসরণ না করে জুনিয়র ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ভর্তি ফি অতিরিক্ত নিলেও তা অতিরিক্ত মনে করছেন না স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুল্লাহ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিয়মেই গত কয়েকবছর ধরে ফি নিয়ে আসছি, অভিভাবকরাও দিচ্ছে। দুদক যদি অভিযানে আসে তাহলে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করবো। আমরা নিজ খরচেই চলি, সরকার আমাদেরকে কোনো টাকায় দেয় না। তারপরও দুদক যদি টাকা ফেরত দিতে বলে তাহলে দেবো।’ jagonews


আপনার এ্যাড দিন

ফটো গ্যালালি

Islamic Vedio

বিজ্ঞাপন ভিডিও এ্যাড




© All rights reserved © 2018 angina24.com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com