বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
মিয়ানমারের ধর্মমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে ওই বক্তব্যের জন্য দেশটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছে বাংলাদেশ।
বুধবার বিকেলে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এর প্রতিবাদ জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশিদ আলম রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন এবং একটি প্রতিবাদপত্রও ধরিয়ে দেয়া হয়।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূতকে সচিব বলেন- মিয়ানমারের ধর্মমন্ত্রীর রোহিঙ্গাদের ‘বেঙ্গলি মুসলিম’ বলা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এ নিয়ে অতীতে বহু কথাবার্তা, প্রতিবাদ হয়েছে স্মরণ করে দিয়ে বাংলাদেশ জিজ্ঞাসা করেছে মিয়ানমার কি তাহলে প্রত্যাবাসন চুক্তি ভুলে গেছে?
তিনি বলেন, ওই চুক্তিতে তাদের ‘ডিসপ্লেসড পারসন ফ্রম রাখাইন স্টেট’ লেখা রয়েছে। তাছাড়া এরা বেঙ্গলি হবে কেন?
মিয়ানমারের নেতাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি দৃষ্টি দেয়ারও অনুরোধ জানায় ঢাকা। রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, অবিভক্ত বাংলার সঙ্গে গোটা দুনিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে। এখানকার লোকজন বার্মা যাবে কেন? গেলে পশ্চিমে যাবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে মিয়ানমারের এই বক্তব্যকে বাংলাদেশ খাটো করে দেখছে না জানিয়ে রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটকে পাশ কাটাতে এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য মিয়ানমারকে পরিহার করতে হবে। তা না হলে সংকট বাড়বে।
বৈঠক সূত্র জানায়, মিয়ানমারের দূত কোনো উত্তর দেননি। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে- হয় দেশটির সরকার মন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেবে অন্যথায় মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ নভেম্বর মিয়ানমারের ধর্মমন্ত্রী থুরা উ অং কো এক শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ইসলাম ধর্মের প্রতি আঙুল তুলে বলেন, ওই উগ্রবাদী ধর্ম বৌদ্ধ ধর্মের জন্য হুমকি।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপি’ডতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রোহিঙ্গাদের বাঙালি মুসলিম বলে কটাক্ষ করে থুরা উ বলেন, সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুতদের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থ উপার্জন করছে এবং তাদের রাখাইনে ফিরতে দিচ্ছে না।
জেপি/বিএ