শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৮ পূর্বাহ্ন
ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ শক্তিশালী দল বাংলাদেশ। দারুণ এগিয়েছে টেস্টেও। কিন্তু সে তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে আগাতে পারেনি টাইগাররা।
আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে সাকিব আল হাসানের দলকে। দেশের মাঠে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সরাসরি ‘সুপার টেন’ বা সেরা দশে খেলতে পারেনি। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ সরাসরি সেরা দশে খেলতে পারেনি।
দুটিতেই বাংলাদেশকে সুপার টেনে পা রাখতে হয়েছে প্রাথমিক পর্বের বৈতরণি পেরিয়ে। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে এগোতে হবে একই পথ অনুসরণ করে। এবার অবশ্য সুপার টেন নয়, থাকছে ‘সুপার ১২’। বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ১২ খেলতে পারছে না।
আর বাংলাদেশের মতো বাছাই পর্ব খেলতে হবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকেও। অথচ আফগানিস্তানের আশ্চর্য উত্থান, র্যাংকিংয়ে সেরা আটের মধ্যে থাকায় তারা টুর্নামেন্ট শুরুই করবে এ পর্ব থেকে।
গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সেখানে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালের মধ্যে এমআরএফ টায়ারস আইসিসি ম্যানস টি২০আই প্লেয়ার র্যাংকিংয়ে থাকা শীর্ষ আটটি দল – পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, দ্য উইন্ডিজ ও আফগানিস্তান সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। সাবেক চ্যাম্পিয়ন ও তিনবারের ফাইনালিস্ট শ্রীলঙ্কা ও ২০১৪ সালের স্বাগতিক বাংলাদেশকে সহযোগী ছয়টি দেশের সঙ্গে গ্রুপ পর্বে অংশ নিতে হবে।
গ্রুপ পর্ব থেকে চারটি দল উঠবে সুপার ১২তে।
বিশ্বকাপের মূল পর্বে সরাসরি খেলতে না পারায় হতাশ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে বাছাই পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, ‘আমরা সরাসরি সুপার ১২তে জায়গা করে নিতে পারিনি তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা গ্রুপ পর্ব পার হয়ে টুর্নামেন্টে ভালো করবো। আমরা আমাদের দিনে যে কোন সেরা দলকে হারাতে পারি। আমি টুর্নামেন্টে অনেক দূর এগিয়ে না যাওয়ার কোন কারণই দেখছি না। আমাদের এখনও অনেক সময় আছে এবং সেটা আমরা ভালো টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়তে ব্যবহার করবো।’
ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশকে গ্রুপ পর্ব পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে হয়। সেবার দারুণ খেলেই সুপার ১০’য়ে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। তবে বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিতে বাংলাদেশের দুই বোলার আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ নিষিদ্ধ হওয়ায় সে ধারা মূল পর্বে ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। ভারতের সঙ্গে জয়ের খুব কাছে গিয়ে মাত্র ১ রানে হারে তারা।